সম্প্রতি বাংলালিংক দারুর কিছু অফার দিচ্চে।।।
আমরা জানি Banglalink এ কথা বলাকে খরচ একটু বেশি। তবু ও মাঝে কিছু অফার দেয় যা অবিশ্বাস।।।।।।।।।।।
!!!!!""""! হয়তো সবাই নাও পেতে পারেন$$$$$$$।।।।!MB পেতে চাইলে
Dial *888#
আর যদি MB পান তাহলে দয়া করে আমাদের।পেজ টাতে Like দিন।
আর নিয়মিত নতুন নতুন সব সিমের অফার জানুন।।।।সবার আগে আমরা অফার প্রকাশ করবো যদি পেজ এ ভিও বাড়ে।।।।।।।
আমাদের পেজ এর লিঙ্ক।।।।
সবাই লাইক দিন
Various kinds of news and tips.....
Thursday, 16 November 2017
১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীর
১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা
(বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ
১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।
এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।
৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।
তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।
এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা (বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ
১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।
এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।
৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।
তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।
এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!
(বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ
১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।
এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।
৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।
তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।
এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা (বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ
১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।
এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।
৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।
শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।
তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।
এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!
Wednesday, 15 November 2017
বিপদের সময় যে দোয়াটি পাঠ করলে স্বয়ং আল্লাহ তায়া’লা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন !!!
বিপদের সময় যে দোয়াটি পাঠ করলে স্বয়ং আল্লাহ তায়া’লা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন !!!
বিপদে পড়েননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া ভার। সবাই কম-বেশি বিপদে পড়েছেন। কেউ একবার আর কেউ বহুবার। কিন্তু কখনো কি বিপদে পড়লে কোন দোয়া পড়েছেন? হয়তো বলবেন, বিপদের সময় দোয়া পড়ার কথা মনেই থাকে না।
একটি দোয়া পাঠ করলেই ভীষন বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মূল্যবান সেই দোয়াটি এবার আমরা জনবো।
দোয়াটি হলো- ’
আল্লাহুম্মাস তুর আওরাতীনা ওয়া আমীন রাওয়াতীনা’
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)
বর্ননা করেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় আমরা আল্লাহর
রাসুল (সাঃ)
এর নিকট আরয করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! এ নাযুক মুহুর্তের জন্য কি কোন দোয়া আছে? আতংকের আতিশায্যে আমাদের হৃদপিন্ড যেন কন্ঠনালী পর্যন্ত এসে যাচ্ছে।
উত্তরে
রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বললেন,
হ্যাঁ, আল্লাহর দরবারে এ ভাবে দোয়া কর, ’
আল্লাহুম্মাস তুর আওরাতীনা ওয়া আমীন রাওয়াতীনা’
অর্থাৎ
হে আল্লাহ! আমাদের সকল দুর্বলতাকে ঢেকে রাখুন এবং আমাদের আস্থিরতাকে স্থিরতায় পরিনত করুন।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী(রাঃ) বলেন,
আল্লাহ তায়া’লা বাতাস পাঠিয়ে শত্রুদের মুখ থুবড়ে দিলেন এবং বাতাসের মাধ্যমেই তাদেরক ধ্বংস করে দিলেন।
বিপদে পড়েননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া ভার। সবাই কম-বেশি বিপদে পড়েছেন। কেউ একবার আর কেউ বহুবার। কিন্তু কখনো কি বিপদে পড়লে কোন দোয়া পড়েছেন? হয়তো বলবেন, বিপদের সময় দোয়া পড়ার কথা মনেই থাকে না।
একটি দোয়া পাঠ করলেই ভীষন বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মূল্যবান সেই দোয়াটি এবার আমরা জনবো।
দোয়াটি হলো- ’
আল্লাহুম্মাস তুর আওরাতীনা ওয়া আমীন রাওয়াতীনা’
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)
বর্ননা করেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় আমরা আল্লাহর
রাসুল (সাঃ)
এর নিকট আরয করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! এ নাযুক মুহুর্তের জন্য কি কোন দোয়া আছে? আতংকের আতিশায্যে আমাদের হৃদপিন্ড যেন কন্ঠনালী পর্যন্ত এসে যাচ্ছে।
উত্তরে
রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বললেন,
হ্যাঁ, আল্লাহর দরবারে এ ভাবে দোয়া কর, ’
আল্লাহুম্মাস তুর আওরাতীনা ওয়া আমীন রাওয়াতীনা’
অর্থাৎ
হে আল্লাহ! আমাদের সকল দুর্বলতাকে ঢেকে রাখুন এবং আমাদের আস্থিরতাকে স্থিরতায় পরিনত করুন।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী(রাঃ) বলেন,
আল্লাহ তায়া’লা বাতাস পাঠিয়ে শত্রুদের মুখ থুবড়ে দিলেন এবং বাতাসের মাধ্যমেই তাদেরক ধ্বংস করে দিলেন।
Tuesday, 7 November 2017
ইয়াজুজ মাজুজ
ইয়াজুজ-মাজুজ
ইয়াজুজ মাজুজ কারা ? এরা কোথায় আছে? এবং যে ভাবে আবির্ভাব হবে! –
কিয়ামত নিকটবর্তী হবার পর অপর একটি বড় আলামত হল পৃথিবীতে ইয়াজুজ-মাযুয নামে দুটি চরম অত্যাচারী গোত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। হযরত ঈসা (আঃ) অবতরনের পর এই জাতি দুটির প্রকাশ ঘটবে। ফাতাহুল বারী র ৬ষ্ঠ খন্ডে হযরত কাতাদা (রাঃ) বলেন এরা মানুষের আকৃতি হবে এবং হযরত নুহ (আঃ) এর পুত্র ইয়াকা এর বংশধর থেকে হবে। তাফসীরে তাবারী গ্রন্থ মতে তারা পৃথিবীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা হবে, বর্তমানের আরমেনিয়া ও আযারবাইযানের পাশাতবাগ তাদের আবাসস্থল উল্লেখ্য করা হয়। –
ইয়াজুজ-মাযুয দেখতে মানুষের মত কিন্তু তাদের স্বভাব হবে চতুস্পদ জন্তুর ন্যায়। দেহের সন্মুখ ভাগ মানূষের ন্যায় কিন্তু পিছনের ও নিম্নভাগ চতুস্পদ জন্তুর ন্যায়। দুনিয়ের এক সীমান্তে এরা বাস করে। এরা মানুষ বৃক্ষলতা সব ভক্ষন করে। এক সময় মানুষ জাতির ওপর এরা ভীষন অত্যাচার চালাত। হযরত শাহ সেকান্দার সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মান করে মানব এলাকায় আসার পথ বন্ধ করে দেয়।
ওরা উক্ত প্রাচীরটি জিহ্বা দ্বারা প্রতিদিন চাটতে থাকে আবার সন্ধ্যার সময় উক্ত প্রাচীর আবার পূর্বের অবস্থায় ফেরত যায় মানে পূর্নাঙ্গ অবস্থা লাভ করে। এভাবে কিয়ামতের আগ পর্যন্ত চলতে থাকবে। কিন্তু হঠাৎ একদিন এ দেয়াল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তখনই ইয়াজুজ-মাযুযের দল স্রোতের ন্যায় মানুষের এলাকায় ডুকে পড়বে। তারা সব কিছু খেয়ে ফেলবে। পানির পিপাসায় তারা দুনিয়ার সব সাগর মহাসাগরের সব পানি খেয়ে ফেলবে। তাদের দৌরাত্মে দুনিয়া তছনছ হয়ে যাবে। এমত অবস্থায় হযরত ঈসা (আঃ) মুসলমানদের নিয়ে দু হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। দেখা দেবে মহামারী সে মহামারীতে এই অত্যাচারী সম্প্রদায় ধ্বংশ হয়ে যাবে।
পবিত্র কোরানে সুরা কাহফে ৯৪-৯৯ আয়াতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা আছে।
ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﻘَﺮْﻧَﻴْﻦِ ﺇِﻥَّ ﻳَﺄْﺟُﻮﺝَ ﻭَﻣَﺄْﺟُﻮﺝَ ﻣُﻔْﺴِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﻬَﻞْ ﻧَﺠْﻌَﻞُ ﻟَﻚَ ﺧَﺮْﺟًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻥ ﺗَﺠْﻌَﻞَ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺳَﺪًّﺍ 94
তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।
ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﻣَﻜَّﻨِّﻲ ﻓِﻴﻪِ ﺭَﺑِّﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻓَﺄَﻋِﻴﻨُﻮﻧِﻲ ﺑِﻘُﻮَّﺓٍ ﺃَﺟْﻌَﻞْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺭَﺩْﻣًﺎ 95
তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থø দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।
ﺁﺗُﻮﻧِﻲ ﺯُﺑَﺮَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺳَﺎﻭَﻯ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺼَّﺪَﻓَﻴْﻦِ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻧﻔُﺨُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺎﺭًﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺁﺗُﻮﻧِﻲ ﺃُﻓْﺮِﻍْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻗِﻄْﺮًﺍ 96
তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা গলিত তামা নিয়ে এস, আমি তা এর উপরে ঢেলে দেই।
ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﻄَﺎﻋُﻮﺍ ﺃَﻥ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻧَﻘْﺒًﺎ 97
অতঃপর ইয়াজুজ ও মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেদ করতে ও সক্ষম হল না।
ﻗَﺎﻝَ ﻫَﺬَﺍ ﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻲ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀ ﻭَﻋْﺪُ ﺭَﺑِّﻲ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﺩَﻛَّﺎﺀ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻭَﻋْﺪُ ﺭَﺑِّﻲ ﺣَﻘًّﺎ 98
যুলকারনাইন বললেনঃ এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ। যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য।
ﻭَﺗَﺮَﻛْﻨَﺎ ﺑَﻌْﻀَﻬُﻢْ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﻳَﻤُﻮﺝُ ﻓِﻲ ﺑَﻌْﺾٍ ﻭَﻧُﻔِﺦَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼُّﻮﺭِ ﻓَﺠَﻤَﻌْﻨَﺎﻫُﻢْ ﺟَﻤْﻌًﺎ 99
আমি সেদিন তাদেরকে দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করে আনব।
সুরা আম্বিয়া ৯৬ নং আয়াত।
ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﻓُﺘِﺤَﺖْ ﻳَﺄْﺟُﻮﺝُ ﻭَﻣَﺄْﺟُﻮﺝُ ﻭَﻫُﻢ ﻣِّﻦ ﻛُﻞِّ ﺣَﺪَﺏٍ ﻳَﻨﺴِﻠُﻮﻥَ 96
যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে।
কিয়ামতের আলামতগুলোর মধ্যে “ইয়াজুজ-মাজুজ”-এর উত্থান অন্যতম। কিন্ত আমাদের অনেকেই ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে জানা তো দূরে থাক,এদের নামই শোনেন নি! এ কারণেই খুব সংক্ষেপে ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে কিছু লেখা হল।
☞ ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে।
☞ শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭)।
[এখানে একটা কথা বলে রাখি,অনেকেই হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে এটা মনে করেন যে যুলক্বারনাইন হচ্ছেন আলেকজান্ডার,এবং তিনি একজন নবী। প্রকৃতপক্ষে,এটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, যুলক্বারনাইন মুমিন ছিলেন আর আলেকজান্ডার কাফের। আর প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী,যুলক্বারনাইন নবী ছিলেন না,ছিলেন এক সৎ ঈমানদার বাদশা। পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভ্রমণ করেছেন বলে তাঁকে যুলক্বারনাইন বলা হয়।]
☞ ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। এমনকি তাদের প্রথম দলটি নদীর পানি খেয়ে শেষ করে ফেলবে এবং শেষদলটি এসে বলবে ‘হয়ত এখানে কোন একসময় নদী ছিল’ । তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না।
☞ এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে,”দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব।” তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন।
☞ এসময় ঈসা (আঃ) তাদের জন্য বদদো‘আ করবেন। এতে স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করবেন। তারা সবাই মারা যাবে ও পঁচে দুর্গন্ধ হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের লাশ থাকবে । আল্লাহ শকুন পাঠাবেন। লাশগুলোকে তারা নাহবাল নামক স্থানে নিক্ষেপ করবে। মুসলিমরা তাদের তীর ও ধনুকগুলো ৭ বছর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করবে। ( বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫) ।
ইয়াজুজ মাজুজ এর পরিচয়ঃ
ইয়াজুজ মাজুজ এরা তুরস্কের বংশোদ্ভুত দুটি জাতি। কুরআন মাজীদে এ জাতির বিস্তারিত পরিচয় দেয়া হয়নি। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে তাদের নাক চ্যাপ্টা, ছোট ছোট চোখ বিশিষ্ট। এশিয়ার উত্তর পুর্বাঞ্চলে অবশিত এ জাতির লোকেরা প্রাচীন কাল হতেই সভয় দেশ সমুহের উপর হামলা করে লুটতরাজ চালাত। মাঝে মাঝে এরা ইউরোপ ও এশিয়া উভয় দিকে সয়লাবের আকারে ধবংসের থাবা বিস্তার করতো।
বাইবেলের আদি পুস্তকে(১০ম আধ্যায়ে) তাদেরকে হযরত নুহ (আ:) এর পুএ ইয়াকেলের বংশধর বলা হয়েছে। মুসলিম ঐতিহাসিক গন ও একথাই মনে করেন রাশিয়া ও ঊওর চীনে এদের অবস্থান বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে অনুরুপ চরিত্রের কিছু উপজাতি রয়েছে যারা তাতারী, মঙ্গল, হুন ও সেথিন নামে পরিচিত।
তাছাডা একথাও জানা যায় তাদের আক্রমন থেকে আত্নরক্ষার জন্ন ককেম্পসের দক্ষিণাঞ্চলে দরবন্দ ও দারিয়ালের মাঝখানে প্রাচীর নির্মান করা হয়েছিল। ইসরাঈলী ঐতিহাসিক ইউসীফুল তাদেরকে সেথীন জাতি মনে করেন এবং তার ধারণা তাদের এলাকা কিষ্ণ সাগরের উওর ও পুর্ব দিকে অবস্থিত ছিল। জিরোম এর বর্ণনামতে মাজুজ জাতির বসতি ছিল ককেশিয়ার উওরে কাস্পিয়ান সাগরের সন্নিকটে।
ইয়াজূজ এবং মাজূজের উদ্ভব…
● ইয়াজূজ এবং মাজূজ হচ্ছে আদম সন্তানের মধ্যে দু-টি গোত্র, যেমনটি হাদিসে এবং বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অস্বাভাবিক বেঁটে, আবার কিছু অস্বাভাবিক লম্বা। কিছু অনির্ভরযোগ্য কথাও প্রসিদ্ধ যে তাদের মাঝে বৃহৎ কর্ণবিশিষ্ট মানুষও আছে, এক কান মাটিতে বিছিয়ে এবং অপর কান গায়ে জড়িয়ে বিশ্রাম করে।
● বরং তারা হচ্ছে সাধারণ আদম সন্তান। বাদশা যুলকারনাইনের যুগে তারা অত্যধিক বিশৃঙ্খল জাতি হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। অনিষ্টটা থেকে মানুষকে বাঁচাতে যুলকারনাইন তাদের প্রবেশ পথ বৃহৎ প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন।
● নবী করীম (সা:) বলে গেছেন যে, ঈসা নবী অবতরণের পর তারা সেই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। আল্লাহ্র আদেশে ঈসা (আ:) মুমিনদেরকে নিয়ে তূর পর্বতে আশ্রয় নেবেন।
অতঃপর স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করবেন। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
ঐতিহাসিক সেই প্রাচীর নির্মাণ:
● যুলকারনাইনের আলোচনা করতে গিয়ে আল্লাহ্ পাক বলেন- আবার সে পথ চতলে লাগল। অবশেষে যখন সে দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যস্থলে পৌঁছল, তখন সেখানে এক জাতিকে পেল, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল: হে যুলকারনাইন! ইয়াজূজ ও মাজূজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্য কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন। সে বলল: আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব। তোমরা লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন সে বলল: তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন সে বলল: তোমরা গলিত তামা নিয়ে এসো, আনি তা এর উপর ঢেলে দেই। অতঃপর ইয়াজূজ ও মাজূজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেগ করতেও সক্ষম হল না…[সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭]
কে সে যুলকারনাইন?
● তিনি হচ্ছেন এক সৎ ইমানদার বাদশা। নবী ছিলেন না (প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী), পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভ্রমণ করেছেন বলে তাঁকে যুলকারনাইন বলা হয়। অনেকে আলেকজান্ডারকে যুলকারনাইন আখ্যা দেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। কারন, যুলকারনাইন মুমিন ছিলেন আর আলেকজান্ডার কাফের। তাছাড়া তাদের দুজনের মধ্যে প্রায় দুই হাজার বৎসরের ব্যবধান। (আল্লাহ্ই ভাল জানেন)
● বিশ্ব ভ্রমণকালে তিনি তুর্কী ভূমিতে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সন্নিকটে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছেছিলেন। এখানে দুটি পাহাড় বলতে ইয়াজূজ-মাজূজের উৎপত্তিস্থল উদ্দেশ্য, যেখান দিয়ে এসে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত, ফসলাদি বিনষ্ট করত। তুর্কীরা যুলকারনাইন সমীপে নির্ধারিত ট্যাক্সের বিনিময়ে একটি প্রাচীর নির্মাণের আবেদন জানাল। কিন্তু বাদশা যুলকারনাইন পার্থিব তুচ্ছ বিনিময়ের পরিবর্তে আল্লাহ্র প্রতিদানকে প্রাধান্য দিলেন। বললেন- ঠিক আছে! তোমরা আমাকে সহায়তা করো! অতঃপর বাদশা ও সাধারণের যৌথ পরিশ্রমে একটি সুদৃঢ় লৌহ প্রাচীর নির্মিত হল। ইয়াজূজ-মাজূজ আর প্রাচীর ভেঙে আসতে পারেনি।
ইয়াজূজ-মাজূজের ধর্ম কি? তাদের কাছে কি শেষনবীর দাওয়াত পৌঁছেছে?
● পূর্বেই বলা হয়েছে যে, তারা হচ্ছে আদম সন্তানেরই এক সম্প্রদায়। হাফেয ইবনে হাজার (রহ:) এর মতে- তারা নূহ (আ:) এর পুত্র ইয়াফিছের পরবর্তী বংশধর।
● ইমরান বিন হুছাইন (রা:) থেকে বর্ণিত, কোন এক ভ্রমণে আমরা নবীজীর সাথে ছিলাম। সাথীগণ বাহন নিয়ে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে পড়ল। নবীজী উচ্চকণ্ঠে পাঠ করলেন- হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্য-ধাত্রী তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুত: আল্লাহ্র আযাব বড় কঠিন…[সূরা হাজ্ব, আয়াত:১-২] নবীজীর উচ্চবাচ্য শুনে সাহাবিগণ একত্রিত হতে লাগলেন, সবাই জড়ো হলে বলতে লাগলেন- তোমরা কি জান-আজ কোন দিবস? আজ হচ্ছে সেই দিবস, যে দিবসে আদমকে লক্ষ্য করে আল্লাহ্ বললেন: জাহান্নাম বাসী বের কর! আদম বলবে: জাহান্নাম বাসী কে হে আল্লাহ্…!?আল্লাহ্ বলবেন- প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন জাহান্নামে আর একজন শুধু জান্নাতে!! নবীজীর কথা শুনে সাহাবীদের চেহারায় ভীতির ছাপ ফুটে উঠল। তা দেখে নবীজী বলতে লাগলেন- আমল করে যাও! সুসংবাদ গ্রহণ কর! সেদিন তোমাদের সাথে ধ্বংস-শীল আদম সন্তান, ইয়াজূজ-মাজূজ এবং ইবলিস সন্তানেরাও থাকবে, যারা সবসময় বাড়তে থাকে (অর্থাৎ ওদের থেকে ৯৯৯ জন জাহান্নামে, আর তোমাদের থেকে একজন জান্নাতে), সবাই তখন আনন্দ ও স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল। আরো বললেন- আমল করে যাও! সুসংবাদ গ্রহণ কর! ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ নিহিত! মানুষের মাঝে তোমরা সেদিন উটের গায়ে ক্ষুদ্র চিহ্ন বা জন্তুর বাহুতে সংখ্যা চিহ্ন সদৃশ হবে…[তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ]
● অর্থাৎ হাশরের ময়দানে ইয়াজূজ-মাজূজ, পর্ববর্তী ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি এবং ইবলিস বংশধরদের উপস্থিতিতে তোমাদেরকে মুষ্টিমেয় মনে হবে। ঠিক উটের গলায় ক্ষুদ্র চিহ্ন আঁকলে যেমন ক্ষুদ্র দেখা যায়, হাশরের ময়দানেও তোমাদের তেমন দেখাবে।
ইয়াজূজ-মাজূজের সংখ্যাধিক্য:
● আব্দুল্লাহ্ বিন আমর (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- ইয়াজূজ-মাজূজ আদম সন্তানেরই একটি সম্প্রদায়। তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাদের একজন মারা যাওয়ার আগে এক হাজার বা এর চেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে যায়। তাদের পেছনে তিনটি জাতি আছে-তাউল, তারিছ এবং মাস্ক…[তাবারানী]
দৈহিক গঠন:
● খালেদ বিন আব্দুল্লাহ্ আপন খালা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- একদা নবী করীম (সা:) বিচ্ছু দংশনের ফলে মাথায় ব্যান্ডেজ বাধাবস্থায় ছিলেন। বললেন- তোমরা তো মনে কর যে, তোমাদের কোন শত্রু নেই! (অবশ্যই নয়; বরং শত্রু আছে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে) তোমরা যদ্ধু করতে থাকবে। অবশেষে ইয়াজূজ-মাজূজের উদ্ভব হবে। প্রশস্ত চেহারা, ক্ষুদ্র চোখ, কৃষ্ণ চুলে আবছা রক্তিম। প্রত্যেক উচ্চভূমি থেকে তারা দ্রুত ছুটে আসবে। মনে হবে, তাদের চেহারা সুপরিসর বর্ম…[মুসনাদে আহমদ, তাবারানী]
অর্থাৎ মাংসলতা ও স্থূলতার ফলে তাদের চেহারা বর্ম সদৃশ দেখাবে।
যে ভাবে প্রাচীর ভেঙে যাবে:
● যুলকারনাইনের নির্মিত সুদৃঢ় প্রাচীরের দরুন দীর্ঘকাল তারা পৃথিবীতে আসতে পারেনি। প্রাচীরের ওপারে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতিতে তারা জীবন যাপন করছে। তবে আদ্যাবধি তারা সেই প্রাচীর ভাঙতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
● আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, প্রাচীরের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবী করীম (সা:) বলেন- অতঃপর প্রতিদিন তারা প্রাচীর ছেদন কার্যে লিপ্ত হয়। ছিদ্র করতে করতে যখন পুরোটা উন্মোচনের উপক্রম হয়, তখনই তাদের একজন বলে, আজ তো অনেক করলাম, চল! বাকীটা আগামীকাল করব! পরদিন আল্লাহ্ পাক সেই প্রাচীরকে পূর্বের থেকেও শক্ত ও মজবুত রূপে পূর্ণ করে দেন। অতঃপর যখন সেই সময় আসবে এবং আল্লাহ্ পাক তাদেরকে বের হওয়ার অনুমতি দেবেন, তখন তাদের একজন বলে উঠবে, আজ চল! আল্লাহ্ চাহেন তো আগামীকাল পূর্ণ খোদাই করে ফেলব! পরদিন পূর্ণ খোদাই করে তারা প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। মানুষের ঘরবাড়ী বিনষ্ট করবে, সমুদ্রের পানি পান করে নিঃশেষ করে ফেলবে। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ দূরে দূরান্তে পলায়ন করবে। অতঃপর আকাশের দিকে তারা তীর ছুড়বে, তীর রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসবে…[তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকিম]
ইয়াজুজ মাজুজ কারা ? এরা কোথায় আছে? এবং যে ভাবে আবির্ভাব হবে! –
কিয়ামত নিকটবর্তী হবার পর অপর একটি বড় আলামত হল পৃথিবীতে ইয়াজুজ-মাযুয নামে দুটি চরম অত্যাচারী গোত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। হযরত ঈসা (আঃ) অবতরনের পর এই জাতি দুটির প্রকাশ ঘটবে। ফাতাহুল বারী র ৬ষ্ঠ খন্ডে হযরত কাতাদা (রাঃ) বলেন এরা মানুষের আকৃতি হবে এবং হযরত নুহ (আঃ) এর পুত্র ইয়াকা এর বংশধর থেকে হবে। তাফসীরে তাবারী গ্রন্থ মতে তারা পৃথিবীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দা হবে, বর্তমানের আরমেনিয়া ও আযারবাইযানের পাশাতবাগ তাদের আবাসস্থল উল্লেখ্য করা হয়। –
ইয়াজুজ-মাযুয দেখতে মানুষের মত কিন্তু তাদের স্বভাব হবে চতুস্পদ জন্তুর ন্যায়। দেহের সন্মুখ ভাগ মানূষের ন্যায় কিন্তু পিছনের ও নিম্নভাগ চতুস্পদ জন্তুর ন্যায়। দুনিয়ের এক সীমান্তে এরা বাস করে। এরা মানুষ বৃক্ষলতা সব ভক্ষন করে। এক সময় মানুষ জাতির ওপর এরা ভীষন অত্যাচার চালাত। হযরত শাহ সেকান্দার সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মান করে মানব এলাকায় আসার পথ বন্ধ করে দেয়।
ওরা উক্ত প্রাচীরটি জিহ্বা দ্বারা প্রতিদিন চাটতে থাকে আবার সন্ধ্যার সময় উক্ত প্রাচীর আবার পূর্বের অবস্থায় ফেরত যায় মানে পূর্নাঙ্গ অবস্থা লাভ করে। এভাবে কিয়ামতের আগ পর্যন্ত চলতে থাকবে। কিন্তু হঠাৎ একদিন এ দেয়াল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তখনই ইয়াজুজ-মাযুযের দল স্রোতের ন্যায় মানুষের এলাকায় ডুকে পড়বে। তারা সব কিছু খেয়ে ফেলবে। পানির পিপাসায় তারা দুনিয়ার সব সাগর মহাসাগরের সব পানি খেয়ে ফেলবে। তাদের দৌরাত্মে দুনিয়া তছনছ হয়ে যাবে। এমত অবস্থায় হযরত ঈসা (আঃ) মুসলমানদের নিয়ে দু হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। দেখা দেবে মহামারী সে মহামারীতে এই অত্যাচারী সম্প্রদায় ধ্বংশ হয়ে যাবে।
পবিত্র কোরানে সুরা কাহফে ৯৪-৯৯ আয়াতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা আছে।
ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﻘَﺮْﻧَﻴْﻦِ ﺇِﻥَّ ﻳَﺄْﺟُﻮﺝَ ﻭَﻣَﺄْﺟُﻮﺝَ ﻣُﻔْﺴِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻓَﻬَﻞْ ﻧَﺠْﻌَﻞُ ﻟَﻚَ ﺧَﺮْﺟًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻥ ﺗَﺠْﻌَﻞَ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺳَﺪًّﺍ 94
তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।
ﻗَﺎﻝَ ﻣَﺎ ﻣَﻜَّﻨِّﻲ ﻓِﻴﻪِ ﺭَﺑِّﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻓَﺄَﻋِﻴﻨُﻮﻧِﻲ ﺑِﻘُﻮَّﺓٍ ﺃَﺟْﻌَﻞْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺭَﺩْﻣًﺎ 95
তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থø দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।
ﺁﺗُﻮﻧِﻲ ﺯُﺑَﺮَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺳَﺎﻭَﻯ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﺼَّﺪَﻓَﻴْﻦِ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻧﻔُﺨُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺎﺭًﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺁﺗُﻮﻧِﻲ ﺃُﻓْﺮِﻍْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻗِﻄْﺮًﺍ 96
তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা গলিত তামা নিয়ে এস, আমি তা এর উপরে ঢেলে দেই।
ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﻄَﺎﻋُﻮﺍ ﺃَﻥ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻋُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻧَﻘْﺒًﺎ 97
অতঃপর ইয়াজুজ ও মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেদ করতে ও সক্ষম হল না।
ﻗَﺎﻝَ ﻫَﺬَﺍ ﺭَﺣْﻤَﺔٌ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻲ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀ ﻭَﻋْﺪُ ﺭَﺑِّﻲ ﺟَﻌَﻠَﻪُ ﺩَﻛَّﺎﺀ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻭَﻋْﺪُ ﺭَﺑِّﻲ ﺣَﻘًّﺎ 98
যুলকারনাইন বললেনঃ এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ। যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য।
ﻭَﺗَﺮَﻛْﻨَﺎ ﺑَﻌْﻀَﻬُﻢْ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﻳَﻤُﻮﺝُ ﻓِﻲ ﺑَﻌْﺾٍ ﻭَﻧُﻔِﺦَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼُّﻮﺭِ ﻓَﺠَﻤَﻌْﻨَﺎﻫُﻢْ ﺟَﻤْﻌًﺎ 99
আমি সেদিন তাদেরকে দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করে আনব।
সুরা আম্বিয়া ৯৬ নং আয়াত।
ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﻓُﺘِﺤَﺖْ ﻳَﺄْﺟُﻮﺝُ ﻭَﻣَﺄْﺟُﻮﺝُ ﻭَﻫُﻢ ﻣِّﻦ ﻛُﻞِّ ﺣَﺪَﺏٍ ﻳَﻨﺴِﻠُﻮﻥَ 96
যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে।
কিয়ামতের আলামতগুলোর মধ্যে “ইয়াজুজ-মাজুজ”-এর উত্থান অন্যতম। কিন্ত আমাদের অনেকেই ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে জানা তো দূরে থাক,এদের নামই শোনেন নি! এ কারণেই খুব সংক্ষেপে ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে কিছু লেখা হল।
☞ ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে।
☞ শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭)।
[এখানে একটা কথা বলে রাখি,অনেকেই হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে এটা মনে করেন যে যুলক্বারনাইন হচ্ছেন আলেকজান্ডার,এবং তিনি একজন নবী। প্রকৃতপক্ষে,এটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, যুলক্বারনাইন মুমিন ছিলেন আর আলেকজান্ডার কাফের। আর প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী,যুলক্বারনাইন নবী ছিলেন না,ছিলেন এক সৎ ঈমানদার বাদশা। পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভ্রমণ করেছেন বলে তাঁকে যুলক্বারনাইন বলা হয়।]
☞ ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। এমনকি তাদের প্রথম দলটি নদীর পানি খেয়ে শেষ করে ফেলবে এবং শেষদলটি এসে বলবে ‘হয়ত এখানে কোন একসময় নদী ছিল’ । তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না।
☞ এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে,”দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব।” তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন।
☞ এসময় ঈসা (আঃ) তাদের জন্য বদদো‘আ করবেন। এতে স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করবেন। তারা সবাই মারা যাবে ও পঁচে দুর্গন্ধ হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের লাশ থাকবে । আল্লাহ শকুন পাঠাবেন। লাশগুলোকে তারা নাহবাল নামক স্থানে নিক্ষেপ করবে। মুসলিমরা তাদের তীর ও ধনুকগুলো ৭ বছর জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করবে। ( বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫) ।
ইয়াজুজ মাজুজ এর পরিচয়ঃ
ইয়াজুজ মাজুজ এরা তুরস্কের বংশোদ্ভুত দুটি জাতি। কুরআন মাজীদে এ জাতির বিস্তারিত পরিচয় দেয়া হয়নি। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে তাদের নাক চ্যাপ্টা, ছোট ছোট চোখ বিশিষ্ট। এশিয়ার উত্তর পুর্বাঞ্চলে অবশিত এ জাতির লোকেরা প্রাচীন কাল হতেই সভয় দেশ সমুহের উপর হামলা করে লুটতরাজ চালাত। মাঝে মাঝে এরা ইউরোপ ও এশিয়া উভয় দিকে সয়লাবের আকারে ধবংসের থাবা বিস্তার করতো।
বাইবেলের আদি পুস্তকে(১০ম আধ্যায়ে) তাদেরকে হযরত নুহ (আ:) এর পুএ ইয়াকেলের বংশধর বলা হয়েছে। মুসলিম ঐতিহাসিক গন ও একথাই মনে করেন রাশিয়া ও ঊওর চীনে এদের অবস্থান বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে অনুরুপ চরিত্রের কিছু উপজাতি রয়েছে যারা তাতারী, মঙ্গল, হুন ও সেথিন নামে পরিচিত।
তাছাডা একথাও জানা যায় তাদের আক্রমন থেকে আত্নরক্ষার জন্ন ককেম্পসের দক্ষিণাঞ্চলে দরবন্দ ও দারিয়ালের মাঝখানে প্রাচীর নির্মান করা হয়েছিল। ইসরাঈলী ঐতিহাসিক ইউসীফুল তাদেরকে সেথীন জাতি মনে করেন এবং তার ধারণা তাদের এলাকা কিষ্ণ সাগরের উওর ও পুর্ব দিকে অবস্থিত ছিল। জিরোম এর বর্ণনামতে মাজুজ জাতির বসতি ছিল ককেশিয়ার উওরে কাস্পিয়ান সাগরের সন্নিকটে।
ইয়াজূজ এবং মাজূজের উদ্ভব…
● ইয়াজূজ এবং মাজূজ হচ্ছে আদম সন্তানের মধ্যে দু-টি গোত্র, যেমনটি হাদিসে এবং বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অস্বাভাবিক বেঁটে, আবার কিছু অস্বাভাবিক লম্বা। কিছু অনির্ভরযোগ্য কথাও প্রসিদ্ধ যে তাদের মাঝে বৃহৎ কর্ণবিশিষ্ট মানুষও আছে, এক কান মাটিতে বিছিয়ে এবং অপর কান গায়ে জড়িয়ে বিশ্রাম করে।
● বরং তারা হচ্ছে সাধারণ আদম সন্তান। বাদশা যুলকারনাইনের যুগে তারা অত্যধিক বিশৃঙ্খল জাতি হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। অনিষ্টটা থেকে মানুষকে বাঁচাতে যুলকারনাইন তাদের প্রবেশ পথ বৃহৎ প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন।
● নবী করীম (সা:) বলে গেছেন যে, ঈসা নবী অবতরণের পর তারা সেই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। আল্লাহ্র আদেশে ঈসা (আ:) মুমিনদেরকে নিয়ে তূর পর্বতে আশ্রয় নেবেন।
অতঃপর স্কন্ধের দিক থেকে এক প্রকার পোকা সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করবেন। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
ঐতিহাসিক সেই প্রাচীর নির্মাণ:
● যুলকারনাইনের আলোচনা করতে গিয়ে আল্লাহ্ পাক বলেন- আবার সে পথ চতলে লাগল। অবশেষে যখন সে দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যস্থলে পৌঁছল, তখন সেখানে এক জাতিকে পেল, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল: হে যুলকারনাইন! ইয়াজূজ ও মাজূজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্য কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন। সে বলল: আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব। তোমরা লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন সে বলল: তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন সে বলল: তোমরা গলিত তামা নিয়ে এসো, আনি তা এর উপর ঢেলে দেই। অতঃপর ইয়াজূজ ও মাজূজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেগ করতেও সক্ষম হল না…[সূরা কাহফ, আয়াত ৯২-৯৭]
কে সে যুলকারনাইন?
● তিনি হচ্ছেন এক সৎ ইমানদার বাদশা। নবী ছিলেন না (প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী), পৃথিবীর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভ্রমণ করেছেন বলে তাঁকে যুলকারনাইন বলা হয়। অনেকে আলেকজান্ডারকে যুলকারনাইন আখ্যা দেন, যা সম্পূর্ণ ভুল। কারন, যুলকারনাইন মুমিন ছিলেন আর আলেকজান্ডার কাফের। তাছাড়া তাদের দুজনের মধ্যে প্রায় দুই হাজার বৎসরের ব্যবধান। (আল্লাহ্ই ভাল জানেন)
● বিশ্ব ভ্রমণকালে তিনি তুর্কী ভূমিতে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সন্নিকটে দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছেছিলেন। এখানে দুটি পাহাড় বলতে ইয়াজূজ-মাজূজের উৎপত্তিস্থল উদ্দেশ্য, যেখান দিয়ে এসে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত, ফসলাদি বিনষ্ট করত। তুর্কীরা যুলকারনাইন সমীপে নির্ধারিত ট্যাক্সের বিনিময়ে একটি প্রাচীর নির্মাণের আবেদন জানাল। কিন্তু বাদশা যুলকারনাইন পার্থিব তুচ্ছ বিনিময়ের পরিবর্তে আল্লাহ্র প্রতিদানকে প্রাধান্য দিলেন। বললেন- ঠিক আছে! তোমরা আমাকে সহায়তা করো! অতঃপর বাদশা ও সাধারণের যৌথ পরিশ্রমে একটি সুদৃঢ় লৌহ প্রাচীর নির্মিত হল। ইয়াজূজ-মাজূজ আর প্রাচীর ভেঙে আসতে পারেনি।
ইয়াজূজ-মাজূজের ধর্ম কি? তাদের কাছে কি শেষনবীর দাওয়াত পৌঁছেছে?
● পূর্বেই বলা হয়েছে যে, তারা হচ্ছে আদম সন্তানেরই এক সম্প্রদায়। হাফেয ইবনে হাজার (রহ:) এর মতে- তারা নূহ (আ:) এর পুত্র ইয়াফিছের পরবর্তী বংশধর।
● ইমরান বিন হুছাইন (রা:) থেকে বর্ণিত, কোন এক ভ্রমণে আমরা নবীজীর সাথে ছিলাম। সাথীগণ বাহন নিয়ে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে পড়ল। নবীজী উচ্চকণ্ঠে পাঠ করলেন- হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্য-ধাত্রী তার দুধের শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুত: আল্লাহ্র আযাব বড় কঠিন…[সূরা হাজ্ব, আয়াত:১-২] নবীজীর উচ্চবাচ্য শুনে সাহাবিগণ একত্রিত হতে লাগলেন, সবাই জড়ো হলে বলতে লাগলেন- তোমরা কি জান-আজ কোন দিবস? আজ হচ্ছে সেই দিবস, যে দিবসে আদমকে লক্ষ্য করে আল্লাহ্ বললেন: জাহান্নাম বাসী বের কর! আদম বলবে: জাহান্নাম বাসী কে হে আল্লাহ্…!?আল্লাহ্ বলবেন- প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন জাহান্নামে আর একজন শুধু জান্নাতে!! নবীজীর কথা শুনে সাহাবীদের চেহারায় ভীতির ছাপ ফুটে উঠল। তা দেখে নবীজী বলতে লাগলেন- আমল করে যাও! সুসংবাদ গ্রহণ কর! সেদিন তোমাদের সাথে ধ্বংস-শীল আদম সন্তান, ইয়াজূজ-মাজূজ এবং ইবলিস সন্তানেরাও থাকবে, যারা সবসময় বাড়তে থাকে (অর্থাৎ ওদের থেকে ৯৯৯ জন জাহান্নামে, আর তোমাদের থেকে একজন জান্নাতে), সবাই তখন আনন্দ ও স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল। আরো বললেন- আমল করে যাও! সুসংবাদ গ্রহণ কর! ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ নিহিত! মানুষের মাঝে তোমরা সেদিন উটের গায়ে ক্ষুদ্র চিহ্ন বা জন্তুর বাহুতে সংখ্যা চিহ্ন সদৃশ হবে…[তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ]
● অর্থাৎ হাশরের ময়দানে ইয়াজূজ-মাজূজ, পর্ববর্তী ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি এবং ইবলিস বংশধরদের উপস্থিতিতে তোমাদেরকে মুষ্টিমেয় মনে হবে। ঠিক উটের গলায় ক্ষুদ্র চিহ্ন আঁকলে যেমন ক্ষুদ্র দেখা যায়, হাশরের ময়দানেও তোমাদের তেমন দেখাবে।
ইয়াজূজ-মাজূজের সংখ্যাধিক্য:
● আব্দুল্লাহ্ বিন আমর (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- ইয়াজূজ-মাজূজ আদম সন্তানেরই একটি সম্প্রদায়। তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলবে। তাদের একজন মারা যাওয়ার আগে এক হাজার বা এর চেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে যায়। তাদের পেছনে তিনটি জাতি আছে-তাউল, তারিছ এবং মাস্ক…[তাবারানী]
দৈহিক গঠন:
● খালেদ বিন আব্দুল্লাহ্ আপন খালা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- একদা নবী করীম (সা:) বিচ্ছু দংশনের ফলে মাথায় ব্যান্ডেজ বাধাবস্থায় ছিলেন। বললেন- তোমরা তো মনে কর যে, তোমাদের কোন শত্রু নেই! (অবশ্যই নয়; বরং শত্রু আছে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে) তোমরা যদ্ধু করতে থাকবে। অবশেষে ইয়াজূজ-মাজূজের উদ্ভব হবে। প্রশস্ত চেহারা, ক্ষুদ্র চোখ, কৃষ্ণ চুলে আবছা রক্তিম। প্রত্যেক উচ্চভূমি থেকে তারা দ্রুত ছুটে আসবে। মনে হবে, তাদের চেহারা সুপরিসর বর্ম…[মুসনাদে আহমদ, তাবারানী]
অর্থাৎ মাংসলতা ও স্থূলতার ফলে তাদের চেহারা বর্ম সদৃশ দেখাবে।
যে ভাবে প্রাচীর ভেঙে যাবে:
● যুলকারনাইনের নির্মিত সুদৃঢ় প্রাচীরের দরুন দীর্ঘকাল তারা পৃথিবীতে আসতে পারেনি। প্রাচীরের ওপারে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতিতে তারা জীবন যাপন করছে। তবে আদ্যাবধি তারা সেই প্রাচীর ভাঙতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
● আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, প্রাচীরের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবী করীম (সা:) বলেন- অতঃপর প্রতিদিন তারা প্রাচীর ছেদন কার্যে লিপ্ত হয়। ছিদ্র করতে করতে যখন পুরোটা উন্মোচনের উপক্রম হয়, তখনই তাদের একজন বলে, আজ তো অনেক করলাম, চল! বাকীটা আগামীকাল করব! পরদিন আল্লাহ্ পাক সেই প্রাচীরকে পূর্বের থেকেও শক্ত ও মজবুত রূপে পূর্ণ করে দেন। অতঃপর যখন সেই সময় আসবে এবং আল্লাহ্ পাক তাদেরকে বের হওয়ার অনুমতি দেবেন, তখন তাদের একজন বলে উঠবে, আজ চল! আল্লাহ্ চাহেন তো আগামীকাল পূর্ণ খোদাই করে ফেলব! পরদিন পূর্ণ খোদাই করে তারা প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসবে। মানুষের ঘরবাড়ী বিনষ্ট করবে, সমুদ্রের পানি পান করে নিঃশেষ করে ফেলবে। ভয়ে আতঙ্কে মানুষ দূরে দূরান্তে পলায়ন করবে। অতঃপর আকাশের দিকে তারা তীর ছুড়বে, তীর রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসবে…[তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকিম]
Sunday, 20 August 2017
কেমন হতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবী।।।।।জানতে চাইলে..........
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী—এটা বড় একটা প্রশ্ন। দেখা যাক
, প্রশ্নটাকে টুকরা করে উত্তর দেওয়া যায় কি না। যেমন, পৃথিবীর নিকট-ভবিষ্যৎ কী? আগামী ৫০ থেকে ১৫০ বছরে পৃথিবী কোন দিকে যাবে, সেটা বরং জানার চেষ্টা করা যাক।
জিন সম্পাদনা করে নীরোগ, নির্মেদ (কিন্তু নির্লোভ অবশ্যই নয়) ‘আদর্শ’ মানুষ তৈরি করার বিদ্যা মানুষ আগামী ৫০ থেকে ১৫০ বছরের মধ্যে খুব ভালোভাবেই রপ্ত করবে। ক্রিস্পার ক্যাস৯-এর (CRISPR-Cas9) মতো জিন এডিটিং টুল এখনই চলে এসেছে। আর ক্যানসারের নিরাময়ে অর্জিত অগ্রগতির কারণে বয়স ১০০ বছরের নিচে কেউ আর ক্যানসারের বলি হবে না। কাজেই মানুষের গড় আয়ু আরও বাড়বে, যেমনটা গত দেড় শ বছরে ধরে বেড়েই এসেছে।
কিন্তু আগামী দেড় শ বছরের মধ্যে মানুষ সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে, অর্থাৎ মানুষ অমর হবে—এ কথা হলফ করে বলতে পারছি না। উনিশ শতকে মানুষ গড়ে মাত্র ৩৭ বছর বাঁচত, আজকে বাঁচছে ৭৮ বছর। কাজেই সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে পৌঁছাতে না পারলেও আগামী ১৫০ বছরে যে গড় আয়ু বেড়ে ১০০ পার করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভাবুন তো, একদিকে মানুষ ১৫০-২০০ বছর বাঁচছে, অন্যদিকে জনসংখ্যা বেড়ে ১৩ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে (পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৩ বিলিয়ন, ২০৫০ সালে জনসংখ্যা বেড়ে হবে ৯.৭ বিলিয়ন আর ২১০০ সালে হবে ১১.২ বিলিয়ন), এ রকম এক পৃথিবী ১৫০ বছর পরে সামান্য আর্থসামাজিক ভারসাম্যহীনতাতেই কিন্তু ভীষণ রকম ডিস্টোপিয়ান হয়ে উঠতে পারে। দেখা দিতে পারে আরও বেশি অসাম্য; সেখান থেকে হতাশা ও নৈরাজ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে উৎপাদনে রোবটের ব্যবহার এমন একপর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ধনী দেশগুলোর সম্পদের ফারাক সাত আসমানচুম্বী হয়ে উঠবে। উন্নত দেশগুলোর ত্রুটিহীন মানবজিনোমের অধিকারী বড়লোকেরা হয়তো আজ থেকে ১০০ বছর পর স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করবেন না। এরা তাঁদের বিপুল সম্পদ নিয়ে প্রথমে পৃথিবীর আন্তর্জাতিক পানিসীমানায় নিজস্ব কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে বড়লোকপাড়া স্থাপন করবে।
কৃত্রিম দ্বীপ কেন? কারণ মোনাকো বা সুইজারল্যান্ড বা পশ্চিম পাম বিচ যতই বিত্তবান এলাকা হোক না কেন; উত্তর আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য বা লাতিন আমেরিকা থেকে কিন্তু বেশি দূরে নয়। খোদ উত্তর আমেরিকায় সাদারা তখন ভীষণ সংখ্যালঘু এক জাতি। ‘বেআইনি’ আর ‘অসম্পূর্ণ’ সাধারণ মানুষে সয়লাব হয়ে যাবে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।
আর তাই আটলান্টিক বা প্যাসিফিকে সাগরের মাঝখানে পানির ওপরে (এবং নিচে) প্রতিষ্ঠিত হবে কিছু নতুন অতি সমৃদ্ধশালী (সুপার রিচ) সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মহা বিত্তবান প্রায়-অমর মানুষেরাই পরে প্রথম সুযোগে চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে বা অন্য গ্রহগুলোতে বসতি স্থাপন করবে। আর জলবায়ুর দিক থেকে বিধ্বস্ত, প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে নিঃস্ব এই পৃথিবীতে পড়ে থাকবে গরিব দেশগুলোর জেনেটিকভাবে ‘অপরিশোধিত’ মানুষের দল।
এত কিছুর পরেও আগামী দেড় শ বছরে ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্বের সঙ্গে মানুষের দেখা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশিই।
আরেকটা আদি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা না করলেই নয়—দেড় শ বছর পরে পৃথিবী আদৌ টিকবে তো? পরিবেশ বিপর্যয়ের যে বার্তা মিলছে, তাতে শঙ্কা একটা জাগেই। তবে দেড় শ বছরের মধ্যে পৃথিবীর স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না, কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশই বেড়ে যাওয়া সমুদ্রের পানিতে (বৈশ্বিক উষ্ণতায় বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, সমুদ্রপৃষ্ঠ আগামী দেড় শ বছরে অন্তত ১ ফুট বাড়বে) ডুবে যাবে।
এমনকি নিউক্লিয়ার যুদ্ধেও শেষ হয়ে যেতে পারে আমাদের এই একমাত্র পৃথিবী। কাজেই সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিজ্ঞানের ঝড়ের বেগে বিরামহীন অগ্রগতির কারণে গত ১৫০ বছরে পৃথিবী যেখানে এসে পৌঁছেছে, তাকে পেছনের আয়নার দ্রুত অপস্রিয়মাণ প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখলে, আগামী ১৫০ বছরে পৃথিবী কোথায় যাবে, সেটা বলতে পারাটা প্রায় অসম্ভব।
কে জানে, তখনকার কেউ হয়তো সার্চইঞ্জিন ঘেঁটে এই লেখাটা পড়বেন আর মুচকি মুচকি হাসবেন!
, প্রশ্নটাকে টুকরা করে উত্তর দেওয়া যায় কি না। যেমন, পৃথিবীর নিকট-ভবিষ্যৎ কী? আগামী ৫০ থেকে ১৫০ বছরে পৃথিবী কোন দিকে যাবে, সেটা বরং জানার চেষ্টা করা যাক।
জিন সম্পাদনা করে নীরোগ, নির্মেদ (কিন্তু নির্লোভ অবশ্যই নয়) ‘আদর্শ’ মানুষ তৈরি করার বিদ্যা মানুষ আগামী ৫০ থেকে ১৫০ বছরের মধ্যে খুব ভালোভাবেই রপ্ত করবে। ক্রিস্পার ক্যাস৯-এর (CRISPR-Cas9) মতো জিন এডিটিং টুল এখনই চলে এসেছে। আর ক্যানসারের নিরাময়ে অর্জিত অগ্রগতির কারণে বয়স ১০০ বছরের নিচে কেউ আর ক্যানসারের বলি হবে না। কাজেই মানুষের গড় আয়ু আরও বাড়বে, যেমনটা গত দেড় শ বছরে ধরে বেড়েই এসেছে।
কিন্তু আগামী দেড় শ বছরের মধ্যে মানুষ সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে, অর্থাৎ মানুষ অমর হবে—এ কথা হলফ করে বলতে পারছি না। উনিশ শতকে মানুষ গড়ে মাত্র ৩৭ বছর বাঁচত, আজকে বাঁচছে ৭৮ বছর। কাজেই সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে পৌঁছাতে না পারলেও আগামী ১৫০ বছরে যে গড় আয়ু বেড়ে ১০০ পার করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভাবুন তো, একদিকে মানুষ ১৫০-২০০ বছর বাঁচছে, অন্যদিকে জনসংখ্যা বেড়ে ১৩ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে (পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা ৭.৩ বিলিয়ন, ২০৫০ সালে জনসংখ্যা বেড়ে হবে ৯.৭ বিলিয়ন আর ২১০০ সালে হবে ১১.২ বিলিয়ন), এ রকম এক পৃথিবী ১৫০ বছর পরে সামান্য আর্থসামাজিক ভারসাম্যহীনতাতেই কিন্তু ভীষণ রকম ডিস্টোপিয়ান হয়ে উঠতে পারে। দেখা দিতে পারে আরও বেশি অসাম্য; সেখান থেকে হতাশা ও নৈরাজ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে উৎপাদনে রোবটের ব্যবহার এমন একপর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ধনী দেশগুলোর সম্পদের ফারাক সাত আসমানচুম্বী হয়ে উঠবে। উন্নত দেশগুলোর ত্রুটিহীন মানবজিনোমের অধিকারী বড়লোকেরা হয়তো আজ থেকে ১০০ বছর পর স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করবেন না। এরা তাঁদের বিপুল সম্পদ নিয়ে প্রথমে পৃথিবীর আন্তর্জাতিক পানিসীমানায় নিজস্ব কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে বড়লোকপাড়া স্থাপন করবে।
কৃত্রিম দ্বীপ কেন? কারণ মোনাকো বা সুইজারল্যান্ড বা পশ্চিম পাম বিচ যতই বিত্তবান এলাকা হোক না কেন; উত্তর আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য বা লাতিন আমেরিকা থেকে কিন্তু বেশি দূরে নয়। খোদ উত্তর আমেরিকায় সাদারা তখন ভীষণ সংখ্যালঘু এক জাতি। ‘বেআইনি’ আর ‘অসম্পূর্ণ’ সাধারণ মানুষে সয়লাব হয়ে যাবে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ।
আর তাই আটলান্টিক বা প্যাসিফিকে সাগরের মাঝখানে পানির ওপরে (এবং নিচে) প্রতিষ্ঠিত হবে কিছু নতুন অতি সমৃদ্ধশালী (সুপার রিচ) সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মহা বিত্তবান প্রায়-অমর মানুষেরাই পরে প্রথম সুযোগে চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে বা অন্য গ্রহগুলোতে বসতি স্থাপন করবে। আর জলবায়ুর দিক থেকে বিধ্বস্ত, প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে নিঃস্ব এই পৃথিবীতে পড়ে থাকবে গরিব দেশগুলোর জেনেটিকভাবে ‘অপরিশোধিত’ মানুষের দল।
এত কিছুর পরেও আগামী দেড় শ বছরে ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্বের সঙ্গে মানুষের দেখা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশিই।
আরেকটা আদি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা না করলেই নয়—দেড় শ বছর পরে পৃথিবী আদৌ টিকবে তো? পরিবেশ বিপর্যয়ের যে বার্তা মিলছে, তাতে শঙ্কা একটা জাগেই। তবে দেড় শ বছরের মধ্যে পৃথিবীর স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না, কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশই বেড়ে যাওয়া সমুদ্রের পানিতে (বৈশ্বিক উষ্ণতায় বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, সমুদ্রপৃষ্ঠ আগামী দেড় শ বছরে অন্তত ১ ফুট বাড়বে) ডুবে যাবে।
এমনকি নিউক্লিয়ার যুদ্ধেও শেষ হয়ে যেতে পারে আমাদের এই একমাত্র পৃথিবী। কাজেই সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিজ্ঞানের ঝড়ের বেগে বিরামহীন অগ্রগতির কারণে গত ১৫০ বছরে পৃথিবী যেখানে এসে পৌঁছেছে, তাকে পেছনের আয়নার দ্রুত অপস্রিয়মাণ প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখলে, আগামী ১৫০ বছরে পৃথিবী কোথায় যাবে, সেটা বলতে পারাটা প্রায় অসম্ভব।
কে জানে, তখনকার কেউ হয়তো সার্চইঞ্জিন ঘেঁটে এই লেখাটা পড়বেন আর মুচকি মুচকি হাসবেন!
Sunday, 13 August 2017
সুস্থ থাকার জন্য হাঁটার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপনার প্রতিদিন বেশ কিছুক্ষণ জোরে জোরে হাঁটতে হবে। কিন্তু অনেকেই একটি সংখ্যাকে সামনে নিয়ে আসছেন। আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আপনি ঠিক কতগুলো পা ফেলছেন, তাও পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে। আর এতেই সংখ্যাটির গুরুত্ব বেড়ে গেছে।
অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সুস্থ থাকার জন্য আপনার প্রতিদিন ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটা উচিত। আর এ সংখ্যাটি নিয়েই অনেকে সন্দীহান। কেউ আবার এজন্য বলছেন ১০ হাজার নয় সাড়ে সাত হাজার পদক্ষেপ নিলেই হবে। বাকি পদক্ষেপ আপনার প্রতিদিন কাজের সময় স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটলে আপনার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের মতো জটিলতার ঝুঁকি কমবে। এছাড়া অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। কিন্তু এ বিষয়টিকে কখনোই ১০ হাজার পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের শারীরিক অবস্থার ভিন্নতা রয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে থাকা একজন রোগী কখনোই ১০ হাজার পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। আবার যার শরীর রীতিমতো অ্যাথলেটদের মতো, তাদের কাছে ১০ হাজার পদক্ষেপ অত্যন্ত সহজ মনে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত শারীরিক অনুশীলন করতে হবে। এটি হতে পারে আধ ঘণ্টার বেশি সময় জোরে হাঁটা বা জগিং। তবে এক্ষেত্রে সবার জন্য নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঠিক করা অসম্ভব।
অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সুস্থ থাকার জন্য আপনার প্রতিদিন ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটা উচিত। আর এ সংখ্যাটি নিয়েই অনেকে সন্দীহান। কেউ আবার এজন্য বলছেন ১০ হাজার নয় সাড়ে সাত হাজার পদক্ষেপ নিলেই হবে। বাকি পদক্ষেপ আপনার প্রতিদিন কাজের সময় স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটলে আপনার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের মতো জটিলতার ঝুঁকি কমবে। এছাড়া অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে প্রতিদিন কমপক্ষে আধ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। কিন্তু এ বিষয়টিকে কখনোই ১০ হাজার পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক মানুষের শারীরিক অবস্থার ভিন্নতা রয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে থাকা একজন রোগী কখনোই ১০ হাজার পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। আবার যার শরীর রীতিমতো অ্যাথলেটদের মতো, তাদের কাছে ১০ হাজার পদক্ষেপ অত্যন্ত সহজ মনে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, প্রতিদিন পর্যাপ্ত শারীরিক অনুশীলন করতে হবে। এটি হতে পারে আধ ঘণ্টার বেশি সময় জোরে হাঁটা বা জগিং। তবে এক্ষেত্রে সবার জন্য নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঠিক করা অসম্ভব।
দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমালে যা ঘটে... আমাদের কতক্ষন দিনে ঘুমানো প্রয়োজন।।।
আধুনিক যুগের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। আসলে বিজ্ঞান অনেক আগে বলে দিয়েছে যে, সুস্থ থাকতে একজন মানুষের কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। নয়তো ধীরে ধীরে শরীর তার কর্মক্ষমতা হারাতে থাকবে। সম্প্রতি কুইবেক-ভিত্তিক ডিজিটার হেলথ প্রতিষ্ঠান মেডিসিস এক গবেষণায় জানায়, প্রতিরাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুম দিলে স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়ে।
গবেষণায় বলা হয়, দিনে ১৮ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার যে ক্ষতি হয় তা অ্যালোকোহলের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ার সম পর্যায়ের। আপনি যখন দীর্ঘ সময় জেগে থাকেন, তখন মস্তিষ্কে দেহের জন্য জরুরি কাজে মনোযোগ ঢালতে পারে না।
অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন জার্নালে বলা হয়, নির্ঘুম রাত অ্যালোকোহল পান করে গাড়ি চালানোর মতোই ভয়ংকর কিছু বয়ে আনতে পারে। এটা শুধু মস্তিষ্ককে সার্বিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই নয়, এতে হঠাৎ করেই ওজন কমতে শুরু করবে। অসুস্থতাবোধ চলে আসবে দেহে। দেখবেন তখন মিষ্টি আর চর্বিজাতীয় জিনিস বেশি বেশি খেতে মন চাইবে।
এ কথা সবাই জানেন যে, পর্যাপ্ত ঘুম দেহের হরমোনের ক্রিয়াকলাপ ঠিক রাখতে এবং পেশি ও মস্তিষ্কের মেরামতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে।
ঘ্রেলিন, কর্টিসল আর লেপ্টিন হরমোন ক্ষুধা বৃদ্ধির কাজ করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, বলেন ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট এবং ক্যাব্রিজ ব্রেইন সায়েন্সের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. আদ্রিয়ান ওয়েন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান টাইমস
গবেষণায় বলা হয়, দিনে ১৮ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার যে ক্ষতি হয় তা অ্যালোকোহলের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ার সম পর্যায়ের। আপনি যখন দীর্ঘ সময় জেগে থাকেন, তখন মস্তিষ্কে দেহের জন্য জরুরি কাজে মনোযোগ ঢালতে পারে না।
অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন জার্নালে বলা হয়, নির্ঘুম রাত অ্যালোকোহল পান করে গাড়ি চালানোর মতোই ভয়ংকর কিছু বয়ে আনতে পারে। এটা শুধু মস্তিষ্ককে সার্বিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই নয়, এতে হঠাৎ করেই ওজন কমতে শুরু করবে। অসুস্থতাবোধ চলে আসবে দেহে। দেখবেন তখন মিষ্টি আর চর্বিজাতীয় জিনিস বেশি বেশি খেতে মন চাইবে।
এ কথা সবাই জানেন যে, পর্যাপ্ত ঘুম দেহের হরমোনের ক্রিয়াকলাপ ঠিক রাখতে এবং পেশি ও মস্তিষ্কের মেরামতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে।
ঘ্রেলিন, কর্টিসল আর লেপ্টিন হরমোন ক্ষুধা বৃদ্ধির কাজ করে। কিন্তু ঘুমের অভাবে এরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, বলেন ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট এবং ক্যাব্রিজ ব্রেইন সায়েন্সের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. আদ্রিয়ান ওয়েন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান টাইমস
Subscribe to:
Posts (Atom)
Banglalink এ ফ্রিতে ৫০০ mb নিয়ে নিন।।।।
সম্প্রতি বাংলালিংক দারুর কিছু অফার দিচ্চে।।। আমরা জানি Banglalink এ কথা বলাকে খরচ একটু বেশি। তবু ও মাঝে কিছু অফার দেয় যা অবিশ্বাস।।...

-
আধুনিক যুগের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। আসলে বিজ্ঞান অনেক আগে বলে দিয়েছে যে, সুস্থ থাকতে একজন মানুষের কমপক্ষে ৮ ঘণ্...
-
১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা (বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ ১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত ...
-
সুস্থ থাকার জন্য হাঁটার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপনার প্রতিদিন বেশ কিছুক্ষণ জোরে জোরে হাঁটতে হবে। কিন্তু অনেকেই একটি সংখ্যাকে সামনে নিয়...