Thursday, 16 November 2017

১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীর

১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা
(বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ

১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।

এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।

৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।

শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।

তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।

এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!১৯৬৫ সাল এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ - বীর বাঙ্গালীরা (বাংলাদেশীরা) রক্ষা করেছিল পাকিস্তানঃ

১৯৬৫ সালের আগষ্ট মাসে, পাকিস্তান ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের শ্রীনগর সীমান্তে, প্রবল বিক্রমে আক্রমন করে। হতচকিত ভারত কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী সেখানকার স্থানীয় উপজাতি গুলোর সহায়তায় শ্রীনগরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছে যায়। মেজর জেনারেল আখতার হোসেন মালিকের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরের আখনুর এবং জারিয়ান দখল করে নেয়। তারা পরের লক্ষ্য স্থির করে কাশ্মীরের শহর জন্মু। তৎকালীন ম্যাগের পরামর্শে (MAAG - Military Assistance Advisory Group) সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান, পাকিস্তানের লাহোর শহরকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত রেখে তার সমস্ত সেনা ইউনিটকে কাশ্মীর অভিমুখে প্রেরন করেন।

এই পর্যায়ে ম্যাগ (MAAG) এর একটু পরিচয় দিয়ে রাখি। পাকিস্তান-আমেরিকা সামরিক চুক্তির অনুযায়ী এই সময় পাকিস্তানের সমর নীতি পরিচালিত হতো আমেরিকান সমর নায়কদের দ্বারা। যে সংস্থার নামে মার্কিন পেন্টাগন পাকিস্তানের উপর সমরনীতি খবরদারি করতো, তার নাম MAAG, (Military Assistance Advisory Group) রাওয়ালাপিন্ডির সেনাসদরই ছিল সেই সময়ে ম্যাগের সদর দপ্তর। যা তখন সিআইএ অপারেট করতো।

৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সাল, খেমকারান সেক্টর দিয়ে ভারত উল্টো পাকিস্তানের করাচি আক্রমন করে বসে। সেনাপ্রধান আয়ুব খান এর তখন ত্রাহি অবস্থা। আয়ুব খান কখনও ভাবতে পারেন নাই ভারত শ্রীনগর যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক সীমান্তে টেনে আনবে। পাকিস্তানি সমস্ত সেনা ইউনিট তখন হয় শ্রীনগরে, না হয় শ্রীনগর অভিমূখে। এই রাতেই আয়ুব খান মার্কিন ম্যাগের কমান্ড নিজ হাতে তুলে নেন। শ্রীনগর অভিমূখী সকল সেনা ইউনিটকে ঘুরিয়ে খেমকারান সেক্টরে নিয়ে এসে, ভারতীয় আক্রমন প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।

শ্রীনগর অভিমুখী সেনা ইউনিট গুলোর সবচেয়ে পশ্চাতে ছিল ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। মুখ ঘুরাতে গিয়ে সবচেয়ে পিছনের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেনা ইউনিট তখন সর্ব-অগ্রবর্তী অংশ হয়ে যায় এবং সর্ব প্রথমেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখী হতে হয় তাদেরকে। যুদ্ধের ইতিহাসে খেমকারান সেক্টরে, বাঙ্গালীরা তৈরী করে এক অমিত বিক্রম সাহসের দৃষ্টান্ত। তাদের প্রচন্ড প্রতিরোধে লাহোর উপকন্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রা। তা না হলে সেইবার লাহোর দখল করে নিতো ইন্ডিয়া।

তৎকালীন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান এর ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে EBR (East Bengal Regiment) মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক হক। মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যে যুদ্ধ করেন, তা পরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক তাকে প্রদান করতে। তবে বাংঙ্গালীর এই সাফল্য গাথা কিন্তুু পাকিস্তানী আর্মি তেমন কোথাও বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। বিভিন্ন মিলিটারী ডকুমেন্টে তারা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের বিষয়ে, মাত্র দুই-চার লাইন লিখে EBR (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) এর কথা শেষ করেছে।

এই যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR) তথা বাঙ্গালী সৈনিকরা অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করেছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এই দুই যুদ্ধেই আমাদের বাঙ্গালীদের রয়েছে বিজয়ের গৌরব গাঁথা। জাতি হিসাবে আমরা কাপুরুষ না, বরং সাহসী আর বীর। আর, সেই সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের রণকৌশল এর প্রশংসা করেছিল।

১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সহ আরো অনেক যুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বাঙ্গালী কোম্পানীর অসংখ্য সৈনিক, অফিসার আর বৈমানিকরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক পেয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। !!

No comments:

Post a Comment

Banglalink এ ফ্রিতে ৫০০ mb নিয়ে নিন।।।।

সম্প্রতি বাংলালিংক দারুর কিছু অফার দিচ্চে।।। আমরা জানি Banglalink এ কথা বলাকে খরচ একটু বেশি। তবু ও মাঝে কিছু  অফার দেয় যা  অবিশ্বাস।।...